দিলীপ ফৌজদারের সাক্ষাৎকার

অর্ঘ্য দত্ত


দিলীপ ফৌজদার

১৯৫৬সাল থেকেই পশ্চিমবঙ্ঠের বাইরে জীবন কাটানো দিলীপ ফৌজদারের জন্ম ১৯৪৪-এ। বিজ্ঞানের স্নাতোকত্ঠ¤à¦° দিলীপদার পেশা জলের প্রকৃতিপাঠও সেই সম্পর্কিত গবেষণা। এই সূত্রে আন্তর্জাতঠক অসরকারি সংস্থায়, ডেনমার্ক সরকারে এবং ইউনিসেফ-এ কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ছাড়াও বিশ্বব্যাঠ্ক ও আন্তর্জাতঠক সরকারি এবং অসরকারি প্রজেক্ট এবং মিশনগুলিতৠথেকেছেন উপদেষ্টা পদে।
কলেজে পড়ার সময় থেকেই à¦²à§‡à¦–à¦¾à¦ªà§à¦°à¦•à¦¾à ¶ ১৯৬৫-৭৪ মূলতঃ কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্ঠের পত্রপত্রিঠায় । মাঝে লেখা প্রকাশ বন্ধ ছিল । সাম্প্রতিঠলেখা ১৯৯৬ সাল থেকে দিল্লির পত্রিকা â€˜à¦‰à¦¨à§à¦®à§à¦•à§à¦¤à ‰à¦šà§à¦›à§à¦¬à¦¾à¦¸â€™ এর সৌজন্যে । ২০০০ সাল থেকে দিল্লিহাট এ অনেকের সঙ্গে আড্ডার দলে যোগ । ২০০৩ সাল থেকে “দিল্লিহাঠার্স” পত্রিকার প্রকাশনা ও সম্পাদনা । প্রকাশিত কবিতা গ্রন্থ : ছড়ানো যুদ্ধের সংলাপ (২০০৩), মাকুমানুষ (২০০৫), মিথিমপিথিম (২০০৭), বিষবাগিচাৠফুল ফুটে আছে (২০১৪), প্যাঁটরা (২০১৪) ।

____________________________________________________________ ___________


*দিলীপদা, খুব ইচ্ছা ছিল, সাক্ষাৎকাঠ° না বলে বলবো আড্ডা। কারণ এক সন্ধ্যায় আপনার সাথে আড্ডা মারার যে সুযোগ পেয়েছিলাম, দিল্লির রাজপথের ধারে, সুকুমার-à¦ªà§€à ¯à§‚à¦·-সব্যসাচ §€ সমভিব্যাহা রে, তা আপনার সাথে আড্ডা মারার স্পৃহাটা বাড়িয়েই দিয়েছিল। মনে হয়েছিল আপনার বলার মত অনেক নিজস্ব কথা আছে। অথচ, দুজনে থাকি দেশের দু'প্রান্তৠ। তাই, সুযোগ আসতেই ভাবলাম সামনাসামনি না হোক. ফোনে বা মেলে তো একটু আড্ডা দেওয়াই যায়! বিশেষ করে যখন আপনার, "কথারা আসতেই থাকে যেন পশ্চিম সমুদ্র থেকে ভেসে আসা উটকো জাহাজ" বা "টেলিফোনে তুলে ধরতে চাই আমার এই দেহখানি;"-র মতো পংক্তি খুঁজে পাই আপনার 'বিষবাগিচাৠŸ ফুল ফুটে আছে'-কবিতার বইটি পড়তে গিয়ে। হ্যাঁ, আপনার এই একটি কাব্যগ্রনৠà¦¥à¦‡ আমি পড়েছি। আর পড়েছি আপনার সম্পাদনায় প্রকাশিত 'দিল্লি হাটার্স' পত্রিকা। মানতেই হবে, একজন কবির সাক্ষাৎকাঠ° নেওয়ার জন্য তাঁর লেখা যতটা পড়া উচিৎ, আপনার লেখা আমার ততোটা এখনও পড়া হয়ে ওঠেনি। আমার পড়া হয়নি 'ছড়ানো যুদ্ধের সংলাপ', 'মাকুমানুষ' বা 'মিথিমপিথিঠ'-এর মতো আপনার প্রকাশিত কাব্যগ্রনৠà¦¥à¦—ুলো।
তবু, আড্ডাতো মারাই যায়! তাই না? আচ্ছা, কথা বলে এটুকু বুঝেছি যে অনেকদিন ধরেই লেখালিখি করছেন। ঠিক কবে থেকে কবিতা লিখছেন আপনি? কবে থেকে লেখালেখিক §‡ গুরুত্ব দিতে শুরু করলেন?

~ অল্প বয়স থেকেই। দিন ক্ষণ বলা মুশকিল। প্রথম কবিতা প্রকাশ পায় ১৯৬৬ সালে।
গুরুত্ব বলতে কি বোঝায়? লেখার তাগিদ তো একটা অন্তঃস্রোঠ¤à¥¤ এর পেছনে কোন উপার্জন সুলভ আকাঙ্ক্ষা বা পেশার সঙ্গে জুড়ে থাকে যে ধরণের à¦‰à¦šà§à¦šà¦¾à¦•à¦¾à¦™à§à •à§à¦·à¦¾, সে সব কিছু তো থাকে না। হ্যাঁ, অবস্থার ফেরে আমার কবিতা বা অন্তর্মুখঠ¿ লেখালিখি প্রায় বন্ধই ছিল ১৯৭৪ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত।


*১৯৬৬ থেকে ২০১৬, পঞ্চাশ বছর। বলুন তো, এত বছর বাদে এখনও কি লেখার জন্য একই রকম তাগিদ অনুভব করেন?

~ লেখালিখির তাগিদ! বললাম তো অন্তঃস্রোঠ¤, অন্তর্মুখঠ¿ ব্যাপার একটা। আপনা আপনিই আসে। টিকেও থাকে ঐ ভাবেই। একটানা লিখে যাচ্ছি, রোজদিনকার à¦…à¦«à¦¿à¦¸à¦•à¦°à§à¦®à§‡à ° যে রকম একটা দায় থাকে - সে ধরণের কিছু থাকে না। এটাকে কি বলবে? দায়বদ্ধতাহ ীন? প্রতিশ্রুত িশূন্যতা? এই জায়গাটায় এসে বুঝতে পারি আপন পরিধিরই অনেক কিছুর ধারণা আমার নেই।
‘এত বছর বাদে এখনও’ কথাটা বুঝলাম না ঠিক। আমি তো আছিই। এর ভেতরে এখনও তখনও বলে কিছু হয় বলে আমার মনে হয় না। কবিতার ‘আমি’টাও ঐ একটাই, চলমান। সময় বা পারমাণবিক বিকিরণের মতো। অনুভব, চৈতন্য এগুলি সমস্তই তার ভেতরে নিহিত বা প্রোথিত থাকে বলেই আমার মনে হয়।

*à¦¬à¦¹à¦¿à¦°à§à¦¬à¦™à§à¦—à ‡ থাকার জন্য আপনার কি কখনো মনে হয়েছে যে কোলকাতা কেন্দ্রিক বাংলা সাহিত্যের মূল স্রোত থেকে পিছিয়ে পড়ছেন? বা স্বীকৃতি পাচ্ছেন না।

~ প্রথমে ‘বহির্বঙ্ঠ—’ শব্দটা নিয়ে কিছু বলে নিই। শব্দটা কিছুটা অশুদ্ধ এবং বেঠিক, বেমানান। শব্দটাকে যাঁরা প্রচলিত করতে চেয়েছিলেন অতিরিক্ত প্রচার ও ফাঁকা আওয়াজের ঢক্কানিনাঠ¦à§‡, তাঁরা এর অন্তর্নিহঠত বিচ্ছিন্নঠাবাদ ও তার সুদূরপ্রসঠরী ফলাফল নিয়ে কিছু ভাবেন নি। ব্যাপারটা অনেক কিছুর ভেতরে জড়িয়ে আছে। আমরা সাহিত্য্, কবিতা এই সবের কথা বলছি অথচ তার সঙ্গে একথাটা এসেই যাচ্ছে যে কটা লোক সেটা পড়বে? ‘প্রবাসী,’ যে কথাটা চলত, সেটার সঙ্গে মূল বাংলা যে পরিচয় সেটা জুড়েই থাকত, মনে হোত কথাটা ভৌগলিক বাংলা হতেই উদ্ভুত। অর্থটা এই হোত যে তোমরা আমাদেরই, যারা বাইরে আছো। ‘বহির্বঙ্ঠ—’ শব্দটায় মনে হয়েছিল যেন বাংলা ও তার পরিসীমার বাইরে বসবাসকারী বাঙালিদের মাঝখানে একটা দেয়াল তোলার চেষ্টা চলছে।
এই দেয়াল তোলার প্রয়াসটিই কিছু তার্কিক প্রশ্নের জন্ম দেয়। বাংলা থেকে দূরে সরে এসে বাঙালিয়ানঠকে ধরে রাখার প্রচেষ্টাঠসমান্তরে এই দেয়াল তোলাটা বিপরীত একটা তর্ক তোলে। আপাত ভাবে একটা উঠোনকে ভাগাভাগির প্রস্তাবনা বলে মনে হলেও আদপে এই ভাগাভাগিটঠ¾ একটাই সত্ত্বা, একই আত্মার সঙ্গে, যেটা হয় না। উঠোন একটা বিষয়, সত্ত্বা একটা চেতনা। বিষয়ের ভাগাভাগি হতে পারে চেতনা কোথায় ভাঙবে যে ভাগাভাগি করা যাবে? ‘বহির্বঙ্ঠ—’কে একটা প্রতিবাদ হিসেবে দাঁড় করানো যেতে পারত, কিন্ত প্রতিবাদ কার কাছে? কিসের বিরুদ্ধে? কোন রাজনীতিমনঠ্ক জমি দখলের কথা তো এখানে আসে না, সেটা হয়ে আছে অন্য কোন প্রসঙ্গে এবং পরিসরেও। যেমন বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্ঠ, ত্রিপুরা বা হতে পারে ঝাড়খণ্ড বা বরাক উপত্যকাও।
কবি হয়ে প্রসিদ্ধি লাভের জন্য যাদের কাছে নাম কেনার জন্য কবিতা লেখা তাদের মনের মতো সেটা হতে হবে। কিন্তু সেখানেও বিভ্রাট বেঁধে আছে। সাহিত্য, শিল্পকলা এগুলি সৃষ্টি। এগুলি কেবলমাত্র স্রষ্টার মন রেখে চলে। সেগুলি যাদের মনের কাছাকাছি শুধু তারাই এসে ওগুলির সঙ্গে জুড়ে যায়। অস্যার্থ, কবিতা আগে, বা যে কোন রসসৃষ্টি, সেটা আগে। তার স্রষ্টা, ঠিক তার পেছনে এরপর আসে তার বোদ্ধা। বোদ্ধার এই আসাটা হতে পারে সৃষ্টির মোটামুটি সঙ্গে সঙ্গেই, প্রায় তার হাত ধরে ধরেই। অথবা তা হতে পারে কিছু দিন, মাস, বছরের ব্যবধানে। এই যে ক্রম, এটা বিপরীত দিশায় চলার অর্থ সেখানে সৃষ্টি বলে যাকে ভাবা হচ্ছে সেটি কতখানি মৌলিক আর কতখানি চর্বিতচর্ব ন এটা ভেবে দেখার বিষয়। কাজেই দেখা যাচ্ছে কবিতা লিখে নাম কামানো এই কথাটা নিজেই বেশ রহস্যজনক ভাবে সংশয়মণ্ডিঠ। অনেকে নাম কামিয়ে নেন যদিও পরবর্তী সূক্ষ্ম দেখায় সে নাম অনেক সময় উবেও যায় তা নিয়ে তার সঙ্গে তাঁর সৃষ্টির অল্পই সম্পর্ক থাকে। অনেক নাম ওপরে উঠে আসে বিভিন্ন উপায়ে অর্জন করা কিছু পুরস্কারেঠ° সূত্রেও। অনেক কবি লেখক নামের জোরেই পুরস্কার সংস্থাগুলঠ¿à¦° মাথায় বসে আপন সুহৃদজনদেঠটেনে ওপরে তুলে নেন। সম্ভবত এখান থেকেই ‘কোলকাতা কেন্দ্রিক বাংলা সাহিত্যের মূল স্রোত’ কথাটার উৎপত্তি। কেন্দ্রকে ক্ষমতার কেন্দ্র বলেও চেনা হয় যার কারণ অন্য কিছু নয়, বাংলা সাহিত্যের বাজারটাও তো à¦•à§‹à¦²à¦•à¦¾à¦¤à¦¾à¦¤à§‡à ¦‡à¥¤ এই à¦•à¦²à¦¿à¦•à¦¾à¦¤à¦¾à¦¤à§‡à ‡à¥¤ যেমন ছিল ঠিক তেমনিই আছে এখনও। এই বাজারও সাহিত্য স্রষ্টাদেঠএকধরণের স্বীকৃতি দেয়। এই বাজারে কবিরা কতটুকু জায়গা পান তা তো জানই। সৃষ্টিশীল গল্পকার, প্রাবন্ধিঠ, তাঁরাই বা কতটুকু পান? সৃষ্টিটা বিক্রয়বস্ঠু হয়ে দাঁড়ালে এই যে স্বীকৃতির প্রশ্ন আমরা তুলছি সেটা কেন পাওয়া যাবে না?
এটা ভাবতে হবে যে আমরা এখানে বাংলা ও বাঙালিয়ানঠর কথা বলছি যেটা কোলকাতা পশ্চিমবাংঠা ঢাকা বা à¦¬à¦¾à¦‚à¦²à¦¾à¦¦à§‡à¦¶à¦•à ‡à¦“ বাদ দিয়ে হয় না। একবার সুনীল à¦—à¦™à§à¦—à§‹à¦ªà¦¾à¦§à§à ¦¯à¦¾à§Ÿ – তিনি তখন সাহিত্য্ আকাদেমির বিশিষ্ট একজন – দিল্লীতে বেঙ্গল এ্যাসোসিয়ৠশনের বইমেলায় এসে বললেন ‘কলকাতার বাইরে বসে লেখা হয় না – লিখতে হলে কলকাতায় এসে থাকুন। অমিয় চক্রবর্তীঠ° মত কবিও কলকাতার বাইরে গিয়ে আর লিখতে পারেন নি’। এই কথাটায় দিল্লির যে কবিরা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন তাঁরা যথেষ্ট রকমের ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ও সরব প্রতিবাদও করেছিলেন। আমারও মনে হয়েছিল যে সুনীল à¦—à¦™à§à¦—à§‹à¦ªà¦¾à¦§à§à ¦¯à¦¾à§Ÿà§‡à¦° মতো সাহিত্য ব্যক্তিত্ঠের এ ধরণের অসৎ ও চটুল মন্তব্য করা উচিত হয়নি কারণ অমিয় চক্রবর্তীঠ° ‘পারাপার’, ‘ঘরে ফেরার দিন’ এই রচনাগুলি বাংলা গণ্ডীর বাইরে বেরোনর পরবর্তী কালের রচনা।
পিছিয়ে পড়ার কথাটা উঠছে কেন? এগোলামই বা কবে? স্বীকৃতি? তা তো একধরণের পেয়েইছি না হলে তুমি আমাকে কি করে জানতে?

*'বহির্বঙ্গ' শব্দটার à¦—à§à¦°à¦¹à¦£à¦¯à§‹à¦—à§à ¯à¦¤à¦¾ নিয়ে যে একটা বিতর্ক আছে আমি তা জানলেও, এ বিষয়ে ঠিক এমন সুন্দর ব্যাখ্যা এর আগে কারো থেকে পাইনি। অনেকে আবার
'বাদবাংলা' শব্দ ব্যবহারের পক্ষে। আপনি নিজে কী মনে করেন? পশ্চিমবঙ্ঠের বাইরে বসবাসকারী ভারতীয় বাঙালিদের বোঝাতে কি আপনি 'প্রবাসী' শব্দ ব্যবহারের পক্ষে?

~ বাদবাংলা কথাটায় ‘বাদ’ অংশটা খটোমটো লাগে। বাদ বললে কি যে বাদ যাবে আর কি জুড়বে সেটা কি কেউ জানে? জানিনা আমি এই বাদ শব্দটাকেই সব ঝঞ্ঝাটের গোড়ায় কেন দেখি!
বাদ দিলে সাহিত্য হয় এমন ধারণা রাখিনা। গুরুজনদের কাছে জেনেছি সাহিত্য কথাটা এসেছে সহিত শব্দটার থেকে। কথাটা আমার মনে গেঁথে আছে। ‘বাদ’ আর ‘সহিত’ এই দুটো
শব্দকে একজায়গায় রাখায় যে একটা বিড়ম্বনা আছে, মনে হয় সেটা ধরতে পারবে। আমি বুঝতে পারি না বাংলার কবিলেখকের ¦¾ আপন আপন আড্ডাকে ক্রমশ আন্দোলনে কেন
তুলতে চান আর সে আন্দোলন পলিটিক্যাঠআন্দোলনের মডেলে কেন দাঁড়াতে চায়? ‘আমরা’ ‘ওরা’ কেন হয়ে যায়? আমি কিসের পক্ষে সেটা আমি আগেও অনেকখানি বলেছি।
সাহিত্য নিয়ে দল পাকানর বিষয়টায় আমার একটা স্বাভাবিক অসম্মতি আছে।
অন্যদিক থেকেও দ্যাখো। সাম্যবাদ, সমাজবাদ সেখানেও তো পার্টি আর ফ্যামিলি ছাড়া আর সব কিছুই বাদ। আবার সামন্তবাদ, পুঁজিবাদ, সেখানে দ্যাখো কেমন, কোন বাদ বিবাদ নেই
চলেই আসছে। বাদ কথাটা গোলমেলে। ওটা বাদ দেওয়াই ভাল।


*আপনার লেখাকে, সে গল্প - কবিতা যাই হোক, আপনার বহির্বঙ্গৠ‡à¦° বা প্রবাসী জীবন ও যাপন কতটা প্রভাবিত করেছে?

~ আমি যে জায়গাটায় জন্মেছিলাঠ® সেটা তখন ছিল বিহার। পরে, ১৯৫৬ সালে, যখন সেটা পশ্চিমবাংঠায় জুড়ে যায় তখন আমি সেখান থেকে আরো একটু সরে এসেছি তবে বাংলাটা জুড়েই ছিল সঙ্গে। আশেপাশে সবাই বাংলাতেই কথা বলত। তার সঙ্গে ওডিয়া, বিহারি, সাদরি ও বিভিন্ন পশ্চিম ভারতীয় ভাষা – রাজস্থানী, কাথিয়াবাড়ৠ, কচ্ছি, গুজরাঠি, মরাঠি, ইত্যাদির একটা সমস্বর যেটাকে আমরা হিন্দী বলেই জানতাম আর সেই মানুষদের চিনেছিলাম মারোওয়ারি হিসেবে – পরে অবশ্য জেনেছি হিন্দী কথ্য ভাষাটা আরবান ঝাড়খণ্ডী ঐ ভাষাটার থেকে অনেক ভিন্ন আর ঐ পশ্চিম ভারতীয়রা সবাই মারোওয়ারি নন, এঁদের মাতৃভাষাগৠলি সব আলাদা আলাদা। কবিরদাসের কথা তো জানই! বারানসীর মিস্টিক পদকর্তা। ওরা বলে হিন্দীভাষঠর কবি। কবি তো ছিলেনই - এঁর পদগুলি সাহিত্যের এক যুগ কেন, কয়েক যুগ ডিঙিয়েছে। কিন্তু কবীরদাসের ভাযাটা কি হিন্দী ছিল? ভোজপুরী, অওধী, হিন্দুস্থা নী ইত্যাদি বেশ কয়েকটি কথ্য ভাষা মিশে আছে এঁর রচনায়। একটা কথা এখানে বলি, ঝাড়খণ্ড আলাদা হয়ে যাওয়ার আগে, বা এখনও, হিন্দী বিহারের ভাষা নয়। বিহারের মূল ভাষা মৈথিলি, ভোজপুরি, অওধী এবং মগহী। বিহারে যে হিন্দীটা চলে সেটা একটা মিশ্রভাষা। এই পর্যায়েরই ভাষা সাদরি এই ডায়ালেক্ট টি ঝাড়খণ্ডী এবং এই অঞ্চলের কথ্য বাংলা বা উড়িয়া অনেকখানি মিশে আছে এই ভাষায়। ভাষার এই অপভ্রংশ অবস্থাটা আমাকে টানত যদিও এখনো পর্যন্ত বাংলাতেই লিখেছি ঐ ভাঙ্গা, বিকৃত ভাষায় লেখার হিম্মৎ হয়নি। তবে সংস্কৃতির বিকৃতি এবং ভ্রষ্টাচার আমাকে বিব্রত করে না। পরবর্তী সময়ে প্রায় সমস্ত দেশটাকেই দেখলাম। বিবিধতা। এর একটা সামগ্রিক প্রতিফলন থাকলেও থাকতে পারে আমার রচনাগুলিতৠ। আমার জীবন, পারিপার্শ্ বিক ও আমার লেখা এদের ভেতরে কোন চিন্তনসূতৠরী বিবাদ নেই। আমার ১৯৭০ সালের একটি কবিতার উদ্ধৃতি দিচ্ছি:

“ভোপাল ছাড়ল ট্রেন ভোরবেলা ডিজেল এঞ্জিনে
তখনো ফোটেনি আলো কী আশ্চর্য সাতটা দশেও,
শীতের কুয়াসা ভোর অনুষঙ্গ নিমম্নতাপম ান
রক্তে বেঁধে, রক্তচলাচল বন্ধ করে দিতে চায়
…..”
ভোপাল শহরটা বাঙালিদের কাছে খুব পরিচিত একটা নাম ছিল না। সে সময় বিশেষ বিশেষ ট্রেনগুলি ডিজেল এঞ্জিনে টানা হোত, নাহলে স্টীম এঞ্জিন। ইলেকট্রিক এঞ্জিনও নতুনই ছিল। এসব কথা কবিতায় খুব একটা আসত না।

আমার লেখার উপকরণ জুগিয়েছে এই প্রবাসই।

*আপনার কবিতায় গত তিরিশ বছরে কি কোনো সচেতন পরিবর্তন এনেছেন__ আ্ঙ্গিকে বা ভাষায়? আনলে সে বিষয়ে কিছু বলুন।

~ সে কথা আমি কি করে জানব?
আমি কবিতা নির্মাণ করায় বিশ্বাসী নই। বিণির্মাণঠঅবশ্যই নির্মাণ, যেটার প্রতিফলন এসে যায় আমার কবিতাসৃষ্ঠির সচেতন জায়গাটা থেকে কিন্তু অন্তস্রোতৠ‡à¦° জায়গাটাও দখল ছাড়ে না।

* আজকাল প্রায়ই শুনি যে বক্তব্য,à¦›à¦¨à à¦¦, যুক্তি বিন্যাস কিংবা নিটোল বাক প্রতিমা-- কবিতায় এসবের দিন গেছে। এ বিষয়ে আপনার মত কী?

~ কবিতার ধারণা সময়ের সঙ্গে বদলাতে থাকে। এখনকার কবিতাও বদলেছে এই সময়কার বিশ্বের রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থব্যবসৠথা, প্রকৃতি-পরঠ¿à¦¬à§‡à¦¶ এবং নিতান্তই স্থানিক পরিস্থিতিঠুলিকে মেনে। এই অর্থে বাংলা কবিতা যথেষ্টভাবৠই চলমান বা dynamic পরিস্থিতিত ে থাকে। ‘দিল্লি হাটার্স’এ ‘নতুনদের কবিতা’ করার সময়ও এই্ পরিস্থিতি দেখতে পেয়েছি নতুনদের লেখার মানসিকতায়à¥
এখনকার কবিতায় lecture থাকে না, ওটা outdated হয়ে গেছে। lecture গেছে বলে যুক্তিজাল বিছানর ব্যাপারটাঠগেছে। শুধু বাকপ্রতিমঠবাদ পড়েছে কেন, ন্যারেটিভ বা দীর্ঘ বর্ণনা দিয়ে কবিতা গড়াকেও এখনকার কবিরা সস্তায় বাজীমাৎ মনে করেন। ছন্দ ব্যাপারটা কিন্তু আছে। ওটা কবিরা বাতিল করেন নি তবে এখন টানা গদ্যেও কবিতা লেখা হয়।

*এখন যে নতুন ধরনের কবিতা লেখা হচ্ছে, প্রথা ভেঙে নতুন হয়ে ওঠার যে মরিয়া চেষ্টা চারপাশে, সে সম্বন্ধে আপনার অভিমত কী?

~ কবিতায়, আর শুধু কবিতাতেই বা কেন? যে কোন আর্টফর্মেঠ‡, সেটা নতুন যে হতে হবে এই শর্তটা নিহিতই থাকে। কী দাঁড়াল সেটাই দেখার। প্রথা ভাঙছে কোথায়? প্রথাই তো গড়ছে। রবীন্দ্রনঠথের পর জীবনানন্দ, সেটাকে কি বলবে? প্রথা ভাঙা না প্রথা গড়া? রবীন্দ্রনঠথের পর সুধীন্দ্রঠাথ দত্তও তো এসেছিলেন সচেতনভাবে প্রথা ভাঙতে। সেখানেও হয়ত কোন প্রথা গড়ে উঠেছে। অত কি জানি বাংলা কবিতা সম্পর্কে? তবে এই বোধটায় কোন ভুল নেই যে কিছু গড়ে ওঠা সহজ, সহজাত, স্বতঃস্ফূঠ্ত তেমনি আবার কিছু গড়ে ওঠা নির্মাণজনি তও। আবাসবাটি, শহর, গড়া হয়ে আছে, বাসিন্দারা আসে নি বা আকর্ষিত হয় নি, এমন তো হয়। কবিতা বা সৃষ্টিশীল অন্য নির্মাণে হবে না কেন?


* দীর্ঘবছর ধরে 'দিল্লি হাটার্স' সম্পাদনা করে চলেছেন- বহির্বঙ্গ থেকে খুব কম বাংলা সাহিত্য পত্রিকা এতবছর ধরে নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে। কী করে এ অসাধ্য সাধন করলেন?

~ 'দিল্লি হাটার্স' প্রকাশনায় ও তার ভেতরকার তাগিদের পেছনে একটা স্বতস্ফূরৠত ব্যাপার ছিল। একটা আড্ডা দিয়ে চালিত হোত ও আড্ডাটি জমানর পেছনে একটা solidarity কাজ করত। অনেকেই ছিলেন এই আড্ডার শরীক কাজেই অবদান সকলেরই ছিল। উল্লেখযোগ §à¦¯à¦­à¦¾à¦¬à§‡ লেখায় ও সম্পাদনায় সবারই অবদান থাকত। কিন্তু এর দায় দায়িত্ত্ব কেউ কেউ নিতে চাইতেন না। ফলাফলে à¦²à§‡à¦–à¦¾à¦²à¦¿à¦–à¦¿à¦œà ¨à¦¿à¦¤ চয়ন, গুণাগুণ, এর যত উষ্মা, একজনেরই পাঁচটি পরামর্শের একটি বা দুটি না নেওয়ার বা পাঁচজনকার ভেতরে একজনের পরামর্শ কাগজে মুদ্রিত না হওয়ার আক্ষেপ, অনুযোগ, সরব এবং হিংস্র হাই ডেসিব্লের আক্রমন সবকিছুই সহ্য করতে হয়েছে, আবার এই সহমর্মীদেঠ°à¦‡ কয়েকজন এই সমস্ত উচ্চগ্রাম মথিত সঙ্কট থেকে উদ্ধারও করেছেন। গৌতম দাশগুপ্ত, কৃষ্ণা মিশ্র ভট্টাচার্য , দেবব্রত সরকার, এঁরা এখনো পর্যন্ত সকল সময়ে সব সঙ্কটে পাশে à¦¦à¦¾à¦à§œà¦¿à§Ÿà§‡à¦›à§‡à ¨à¥¤ থেকেছেন। রবীন্দ্র গুহ, অরুপ চৌধুরি ও মিহির রায়চৌধুরি এঁরা যতদিন পর্যন্ত নিয়মিত আড্ডায় আসায় সক্ষম ছিলেন ততদিন সঙ্গেই থেকেছেন। বিগত কয়েক বছরে অগ্নি রায়, পীযূষ বিশ্বাসের মত কবিরা জুড়ে গেছেন দিল্লি হাটার্সের সঙ্গে। এর বাইরের এক দুজনের নাম না নিলে অকৃতজ্ঞতা হবে। বারীণ ঘোষাল, অলোক বিশ্বাস, প্রণব পাল, বিশ্বজিৎ বাগচী, পার্থসারথি উপাধ্যায়, এঁরাও বাইরে থেকে নানাভাবে মদদ জুগিয়েছেন দিল্লি হাটার্সকেॠ¤


*পত্রিকাটি সম্বন্ধে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী? দিল্লির বাইরে সাহিত্যপ্র েমী বাঙালীদের কাছে পত্রিকাটিঠকদর কেমন?

~ এসব পত্রিকার কোন ভবিষ্যত হয় না। সহমর্মীদেঠ° আগ্রহ যতদিন বহাল থাকে ও লেখা যতদিন আসে ততদিন চলে। ভবিষ্যত পরিকল্পনাঠকথা বলতে গেলে কিছু কথা এর প্রস্তাবনা নিয়েও বলতে হয়। ‘দিল্লি হাটার্স’ কোন আঁটোসাঁটো প্রতিষ্ঠান ের ওপর গড়ে ওঠেনি। এটি গড়ার আগে দিল্লিহাট নামে যে একটি ট্যুওরিস্ঠবাজার আছে দিল্লিতে - সেখানে্ প্রবেশমূলৠà¦¯ লাগে। এটাতেই একটা আড্ডা জমে উঠেছিল কবিদের। সেখানে অনেকেই এসেছেন ততদিনে। দিল্লির কবিরা তো ছিলেনই, এঁদের আগ্রহে, এবং অবশ্যই, আগ্রহটা একতরফা ছিল না, এই আড্ডায় এসেছেন বারীণ ঘোষাল, সুকুমার চৌধুরি, অজিত রায়দের মত প্রবাসী লেখকেরা। ‘দিল্লি হাটার্স’ পত্রিকাটিঠধারণাও তখন জন্ম নেয়নি। বারীণ এই আড্ডার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন ফিরে গিয়েও। তাঁর একটা নিয়মিত আসাযাওয়াও ছিল দিল্লিতে। পোস্টকার্ঠ¡à§‡ খোলা চিঠি লিখতেন বারীণ। জানতে চাইতেন দিল্লি হাটার্সরা কেমন আছে? এখনো দিল্লি এলে বারীণ দিল্লি হাটের আড্ডায় আসেন।
২০০২-৩ সালের কোন একটা সময়ে রবীন্দ্র গুহ, ইনি ছিলেন দিল্লি হাটার্সদেঠভেতরকার এক নিয়মিত আড্ডাবাজ, ইনিই প্রস্তাব রাখেন এই আড্ডার একটা পত্রিকা হোক। সকলেই উৎসাহিত হন ও অল্প কয়েক দিনের প্রয়াসেই ‘দিল্লি হাটার্স’ প্রকাশ পায়। নামকরণের সময় বারীণের স্বতোৎসারঠত ‘দিল্লি হাটার্স’ নামটা আমরা নিয়ে নিই। পত্রিকাটিঠপ্র্থম সংখ্যার মলাটের ডিজাইনটিও আমিই করেছিলাম coral draw ব্যবহার করে। ল্যুটিয়েন দি্ল্লির red sandstone এর রং ছিল একরঙা এই মলাটছবির। আজকের যমুনা এ জায়গা থেকে আরো কিছু পুবদিকে সরে গেছে। যে সেতুর তলা দিয়ে নদীর প্রবাহ ছিল সেখানে এখন রাস্তা, গাড়ী চলে। দিল্লিও বদলে গেছে। তখন ছিল মোগলদের এখন গণতান্ত্রঠক, ফেডারেল ভারতের।
এসবের সহজ অর্থ এই যে যদিও কবিতার পরিস্থিতিত ে কলকাতা, ঢাকা যাই বলো, উননিশ-শ-à¦·à¦¾à¦ à ‡à¦° দশক থেকে সবাইকেই দেখি নিজেকে অপ্রাতিষ্ঠানিক বলে দাবী করতে আর তলায় তলায় সর্বত্রই প্রাতিষ্ঠা নিক রমরমার লক্ষণগুলি চোখে পড়ে। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে দিল্লি হাটার্স এখনো অপ্রাতিষ্ঠানিক। চলবে কি চলবে না সেসব নিয়ে কোন দায় রাখি না। তবে নতুনরা কেউ এর দায় দায়িত্ব নিতে চাইলে নেবে।

* এই তো আড্ডা বেশ জমে উঠেছে। আচ্ছা, দাদা, নতুনদের কবিতার ব্যাপারে আপনার আন্তরিক আগ্রহ লক্ষ করেছি দিল্লি হাটার্স পত্রিকায়। এই যে একটা অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়, 'বাংলা কবিতা দিন দিন বৃহত্তর পাঠকের মনোযোগ à¦¥à§‡à¦•à§‡à¦¬à¦¿à¦šà§à¦›à ¦¿à¦¨à§à¦¨ হয়ে পড়ছে', এ বিষয়ে আপনার কী অভিমত?

~ কবিতা সাহিত্যের এমনিই এক অবস্থা যাকে চিনতে সময় লাগে। বৃহত্তর পাঠকের যে কথাটা তুলেছ, আমার মনে হয় না কবিতা নিজের ক্ষমতায় বা যাকে আমরা বলতে পারি স্বতশ্চলতা র বলে, বৃহত্তর পাঠকের কাছে পৌঁছায়। কবিদের পরিসর থেকে কবিতানিষ্ঠপাঠকের কাছে আসতে আসতেই তো কত বছর পেরিয়ে যায়। এই কবিতানিষ্ঠপাঠক যাঁদের বলছি এঁরা কারা? না, এখানে জেণ্ডার বিতর্কটা এনো না ওটা এখানে à¦…à¦ªà§à¦°à¦¾à¦¸à¦™à§à¦—à ¿à¦•, পাঠক মানে পাঠিকাও। কবি বলতে যেমন সকলকেই বোঝায়। এঁরা সাহিত্য আলোচক, সাহিত্যের শিক্ষক এবং এদের একটা বর্গে অন্য কবিরাও আছেন। বৃহত্তর পাঠকেরা এই বলয়ের বাইরেকার। রবীন্দ্রনঠথ দেখো, জীবনানন্দ দেখো, বৃহত্তর পাঠকেরা এঁদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছাতে কত সময় লেগে গেল? আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমরা যদি বলি রবীন্দ্রনঠথের কবিতা, জীবনানন্দৠর কবিতার মতো কবিতা এখন কেন হয় না সে কথাটা পাকিস্তানৠর ডিক্টেটর আয়ুব খানের মতো হয়ে যায় যিনি সেখানের বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানৠকবিদের রবীন্দ্রসঠ্গীত রচনা করার হুকুম জারি করেছিলেন।

*à¦¬à¦¹à¦¿à¦°à§à¦¬à¦™à§à¦—à ‡à¦° কবি ও কবিতা চর্চা নিয়ে কিছু বলুন। আবহমানের বাংলা কবিতায় তাদের কোনো অবদান কি আছে বা থাকবে?

~ বহির্বঙ্গৠ‡à¦° কবি ও কবিতা চর্চার পরিসরে বাংলা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাটা একটা চ্যালেঞ্জॠএই পরিস্থিতিত ে সৃষ্টিশীল কবি-à¦—à¦¦à§à¦¯à¦•à¦¾à ¦°à¦¦à§‡à¦° এক জায়গায় জড়ো করা বেশ দুরুহ হয়ে দাঁড়ায়। দিল্লি তবুও একটা মেগাসিটি, মুম্বাই এর মতই। এর আনাচে কানাচে অনেক প্রতিভাসম্ পন্ন সাহিত্যকরৠমীরা থাকেন যাঁরা বাংলা সমসাময়িক সাহিত্য সম্পর্কে দায়বদ্ধ। এঁরা নানাভাবে এই শহরটির সঙ্গে যাপনের সঙ্গে জোড়া নানান দুর্বিপাকৠবাঁধা। অপরদিকে ‘দিল্লি হাটার্স’ এর জনবল, অর্থবল অতটা নেই যা দিয়ে এঁদের সঙ্গে জুড়বার প্রয়াসটিকৠসহজতর করা যেতে পারত। এটাতেই বাংলাবলয়েঠ° বাইরেকার কবি ও কবিতা চর্চা নিয়ে যে হ্যাপা, তার কিছুটা আভাষ পাবে। হ্যাঁ, একটা কথা, দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালৠ‹à¦°, পুণে এসব জায়গায় বাংলা সাহিত্যে উৎসাহী মানুষজনদেঠবিরলতা এতটাই প্রকট যে এখানে শুধুমাত্র কবিতা নিয়ে বাংলা সাহিত্যে ঝাঁপিয়ে পড়াটা একধরণের স্নবারি। পাকেচক্রে আমিও ঐ খুড়োর কলে।

*আপনার প্রিয় বা à¦…à¦¨à§à¦¸à¦°à¦£à¦¯à§‹à¦—à à¦¯ কবি কে বা কারা? প্রিয় গল্পকারই বা কারা?

~ এ সময় আমার প্রিয় বা অনুসরণ যোগ্য কবি বলতে সম্ভবত কেউ নেই। প্রথম জীবনে যখন সেটা ছিল শেখার সময়, তখন ছিল। আমার কবিতায়, অর্থাৎ ভাব বা ভাষাচয়নে কিছু কবিতা, শব্দ, হয়ত বা এসে গেছিলই সে সব কবিতা সেই সময়কার পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েই বিলীন হয়ে গেছে। বই হয়ে বেরোয়নি। তবে এমনও নয় যে কেউ সেসব কবিতা পড়েনি। কলকাতা থেকে প্রকাশিত সত্তর দশকের বাংলা কবিতার এক সঙ্কলনে রবীন্দ্র গুহর সঙ্গে আমার কবিতার সহাবস্থান তাঁকে দেখিয়েছি। ২০০০ সালে দিল্লির এক কবিতা আড্ডায় অরূপ চৌধুরী আমাকে প্রবলভাবে অবাক করে দেন যখন বলেন আমার কবিতা তিনি সত্তরের দশকে পড়েছেন।
এখন আমি সচেতনভাবে কাউকেই অনুসরণ করিনা।


* আপনার নতুন বই প্রকাশের খবর পেলাম। সে বই সম্বন্ধে যদি এখানে পাঠকদের কিছু জানাতে চান...

~ আমার নতুন যে বই প্রকাশের খবর শুনেছ তার সঙ্গে কবিতা বা কবিতাভাবনঠর কোন সম্বন্ধ নেই। বইটি প্রকৃতির জলকে দেশে আমরা কিভাবে চালনা করছি ও ফলাফলে কোন কোন সঙ্কটের ভেতর দিয়ে আমরা এগোচ্ছি সেই সমস্ত প্রসঙ্গকে নিয়ে। বাংলায় লেখা বলে à¦¸à¦¹à¦•à¦°à§à¦®à§€à¦¦à§‡à ° কাছ থেকে অনেক অনুযোগ শুনতে হয়েছে। হ্যাঁ, ইংরাজীতে হলে আরো বেশি পাঠক পড়তেন, সেটা অনুবাদ হলেও এখনো হতে পারে। কিন্ত তাহলে বইটি আলোচনা এবং বিবাদের কারণও হয়ত হবে। ইংরাজীতে তো লিখবই। আরো আঁটঘাট বেঁধে সেটা হবে। গ্লোব্যাল অবস্থা আমাদের মতো এতো ঢিলাঢালা নয়।

*দিলীপদা, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। অনেক কথা, কবিতা সংক্রান্ত আপনার অনেক ভাবনা জানা গেল। আমাদের যাত্রা সবে শুরু হয়েছে, এসময়েই আপনাকে পাশে পেয়ে সত্যিই ভালো লাগলো। আশাকরি, পাঠকদেরও ভালো লাগবে। আমাদের পাঠকদের জন্য আপনার প্রকাশিতবৠয বইটির সম্বন্ধে একটু বিস্তারিত তথ্য নিচে দিয়ে দিলাম।

জলের পরিবেশ : পরিবেশের জল’ এই বইটি ১৫২ পাতার। ভূমিকায় দেশের জল নিয়ে লেখকের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা আছে। পরের পর্বগুলিতৠএকে একে গোলোকের উষ্ণতা ও আবহাওয়ায় বদলাও আসা, বিশ্বের এই দুটি অবস্থার ওপরে রাজনীতি, ভূমি, আবাস ও নিহিত সমস্যাগুলঠআলোচনার পরে দেশে জলের অবস্থা দুরবস্থার কথা আছে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষন সহ। জলের কথায় জল সংরক্ষণ ও প্রকৃতিতে জলধারণ ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা ছাড়াও দেশের ভেতর জল নিয়ে যে রাজনীতি চলছে তার বিশ্লেষণও আছে। উৎসাহী পাঠক বইটি পেতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: বিষ্ণু গাঙ্গুলি/à¦¬à ¦¿à¦¶à§à¦¬à¦œà¦¿à§Ž বাগচী, “দুর্বাসা†, 43/6/2 Jhill Road, Dhakuria, Kolkata-700006 Mobile phone: 09038025384/09830171108

ফেসবুক মন্তব্য

Copyrights © 2016 All Rights Reserved by বম্বেDuck and the Authors
Website maintained by SristiSukh CMS
kusumarghya@yahoo.com